প্রকাশিত:
৯ ডিসেম্বর, ২০২৫

একজন নির্মাণ কোম্পানির মালিকের একটি ভিডিওতে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়েই ভ্যান্স এ মন্তব্য করেন। ভিডিওতে ওই ব্যবসায়ী বলেন, সাম্প্রতিক সপ্তাহে অভিবাসীদের কাছ থেকে কাজের জন্য যোগাযোগ বেড়েছে, যা তাকে “আশ্চর্য” করেছে। “গত তিন মাসে যত ফোন পাইনি, তার চেয়ে বেশি ফোন পেয়েছি গত সপ্তাহে,” তিনি বলেন।
এ প্রসঙ্গে ভ্যান্স শনিবার এক্স–এ (পূর্বের টুইটার) লিখেন, “গণ অভিবাসন আমেরিকান স্বপ্নের চুরি। এটি সব সময়ই এমন ছিল। আর যেসব থিঙ্ক ট্যাঙ্ক, অবস্থান–পত্র বা অর্থনৈতিক গবেষণা ভিন্ন কথা বলে, সেগুলো সেই পুরোনো ব্যবস্থায় লাভবান লোকদের অর্থায়নে তৈরি।”
উল্লেখযোগ্যভাবে, ভ্যান্সের স্ত্রী ভারতীয় অভিবাসী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তা সত্ত্বেও গণ অভিবাসনের অর্থনৈতিক প্রভাব নিয়ে তিনি বহুদিন ধরে কঠোর অবস্থান নিয়ে আসছেন।
ভ্যান্সের দাবি, গণ অভিবাসনের চাপ দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে এবং সাধারণ আমেরিকানদের জন্য বাড়িঘর কেনা কঠিন করে তুলছে। গত মাসে ফক্স নিউজ–কে তিনি বলেন, “অনেক তরুণ বলছে আবাসন খুব ব্যয়বহুল। কেন? কারণ আমরা দেশকে তিন কোটি অবৈধ অভিবাসী দিয়ে ভরিয়ে ফেলেছি।”
এর আগে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানুয়ারিতে ক্ষমতায় ফিরে অবৈধ অভিবাসনের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান শুরু করেছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বৃহৎ বহিষ্কার অভিযান পরিচালনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এবং বিপজ্জনক অপরাধীদের অপসারণকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন।
তবে ডেমোক্র্যাট ও অভিবাসী অধিকার সংগঠনগুলো অভিযোগ করেছে যে ফেডারেল এজেন্টরা প্রায়ই এমন ব্যক্তিদেরও বহিষ্কার করছে যাদের কোনো অপরাধমূলক রেকর্ড নেই—এমনকি অনেক ক্ষেত্রে মার্কিন নাগরিকদের স্বামী–স্ত্রীও এই অভিযানে পড়ছেন। জুন এবং অক্টোবরের বড় আকারের ‘নো কিংস’ বিক্ষোভেও ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ তুলেছেন অধিকারকর্মীরা।
অন্যদিকে, সমালোচনার জবাবে ট্রাম্প বেশ কয়েকটি উচ্চপ্রোফাইল অপরাধের উদাহরণ তুলে ধরে বলেছেন, অনেক সমালোচক “অপরাধীদের রক্ষা করছে।” সম্প্রতি মিনেসোটায় সোমালি বংশোদ্ভূতদের জড়িত করে উন্মোচিত কল্যাণ জালিয়াতি মামলার কথাও তিনি উল্লেখ করেন।